Tags: মেহেনাজ শিকলবন্দী ১১ বছর !
[২] শেরপুর জেলার ঝিনাইগাতী উপজেলার ব্রিজ পাড় এলাকার প্রয়াত মোস্তফার ছোট মেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থী মেহনাজ মিরা প্রায় ১১ বছর ধরে শিকলবন্দী অবস্থায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। একটি ছোট্ট টিনের অপরিচ্ছন্ন কক্ষে শিকলবন্দী অবস্থায় শুয়ে আছে মেহনাজ মিরা। ঘরের সামনে ভাত ছিটানো, যে কক্ষটিতে মেহনাজ থাকে সেটিও এলোমেলো অবস্থায় রয়েছে। দেখেই বোঝা যায় যে, এখানে একজন মানসিক বিকারগ্রস্ত মেয়ে বাস করে। সূত্র: আমাদেরসময়.কম
[৩] মেহেনাজ মিরার দুই ভাই চার বোন। তার বাবা মা কেউ বেঁচে নেই। তিন বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। বড় ভাই হাবিবুর চা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আরেক ভাই হাসান সেই মূলত মেহেনাজকে দেখাশুনা করেন। হাসান পেশায় একজন নৈশপ্রহরী। নিজের সংসার চালাতে হিমশিম খায় সে। তাই মানসিক প্রতিবন্ধী ছোট বোন মেহেনাজের চিকিৎসা ব্যয় ও খাওয়া-দাওয়ার খরচ চালাতে তার খুব কষ্ট হচ্ছে ।
[৪] বড়ভাই হাসান জানান, যে বয়সে আমার বোনের ঘর সংসার করার কথা তখন সে ১১ বছর ধরে শিকলবন্দী অবস্থায় জীবন পার করছে। শিকলবন্দী থাকায় পায়ে পোকা ধরেছিল। তাই গভীর ক্ষত তৈরি হয়েছে। আমি সামান্য নৈশপ্রহরীর কাজ করি, আমার তিনজন বাচ্চা আছে তাই সকল খরচ চালাতে খুব কষ্ট হচ্ছে। তাই সরকারের কাছে দাবি আমার বোনের চিকিৎসা করতে সরকারি ভাবে সাহায্য করা হয়।
[৫] মেহনাজ মিরার ভাবি জানান, সে যখন স্কুলে পঞ্চম শ্রেণীতে পড়তো তখন স্কুল থেকে ফিরে হঠাৎ একদিন আবোল তাবোল বকতে শুরু করে। সেই থেকেই শুরু প্রায় ১১ বছর হল এ অবস্থায় আছে। বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই তাই মেয়েটির খোঁজখবর কেউ নেয় না। এখন যদি সরকারি ভাবে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হতো তাহলে হয়তো মেয়েটি ভালো হতো।
[৬] এ ব্যাপারে শেরপুরের সিভিল সার্জন অনুপম ভট্টাচার্য বলেন, বিষয়টি আমরা অবগত হলাম। আমরা তাকে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করব। প্রয়োজনে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে। সম্পাদনা: সাদিয়া ইসলাম