Tags: শিশু জন্মের পরে নিবন্ধন করলেই নগদ অর্থ পুরস্কারের ব্যবস্থা করেছেন টুঙ্গিপাড়া পৌর মেয়র
[২] জন্মনিবন্ধন নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই। অনেকে দিনের পর দিন পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদে ধরনা দেন। বাড়তি টাকা ব্যয় করেন। কিন্তু জন্মনিবন্ধন হাতে পান না। শিশুর জন্ম নিবন্ধনের প্রয়োজন হলেই অভিভাবকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়ে যায়। মনে করেন জন্ম নিবন্ধন করতে যাওয়া মানেই দিনের পর দিন হয়রাণি। এ চিত্র বদলে দিতে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল অভিনব উদ্যোগ গ্রহন করেছেন।
[৩] শিশুর জন্মগ্রহণের ৪৫ দিনের মধ্যে টুঙ্গিপাড়া পৌরসভায় জন্মনিবন্ধন করালেই অভিভাবক পাচ্ছেন নগদ ৫০০ টাকা পুরস্কার। এখানে কোন প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই শিশুর জন্ম নিবন্ধন করে দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে।
[৪] সরকার নির্ধারিত সময়ে মধ্যে অর্থাৎ শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্মনিবন্ধনে অভিভাবকদের উদ্বুদ্ধ করতে এমন উদ্যোগ নিয়েছেন টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল।
[৫] বৃহস্পতিবার বিকেলে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শারমিন আক্তার টুঙ্গিপাড়া পৌরসভায় তার সদ্যজাত শিশুর জন্মনিবন্ধন করাতে যান। এসময় শিশুর জন্ম নিবন্ধনের সাথে তাকে নগদ ৫০০ টাকা পুরস্কার হাতে তুলে দিয়ে এ উদ্যোগের শুভ সূচনা করেন মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল।
[৬] এসময় টুঙ্গিপাড়া পৌরসভায় প্যানেল মেয়র কাজী ফকরুল ইসলাম, পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মঈনুল ইসলাম অপু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
[৭] টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল বলেন, বর্তমান বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে জন্ম নিবন্ধন একটি গুরুত্বপূর্ণ সনদ। কারণ স্কুলে ভর্তি থেকে শুরু করে শিশুর প্রতিটি কাজেই জন্ম নিবন্ধন বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেক সন্তানের অভিভাবক জন্ম নিবন্ধন করতে গড়িমসি করেন। এছাড়া একটু বয়স বেড়ে গেলে নিবন্ধন করাতে বেগ পেতে হতেও পারে। তাই অভিভাবকদের উপযুক্ত সময়ে সন্তানের জন্ম নিবন্ধনে আগ্রহী করতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। শিশুর ৪৫ দিন বয়সে ঝামেলা ছাড়াই বিনামূল্যে এ জন্ম নিবন্ধন প্রদান করা সম্ভব। আগামীতেও যে সব শিশুর অভিভাবক ৪৫ দিনের মধ্যে জন্ম নিবন্ধন করাতে পৌরসভায় আসবেন তাদের ফ্রি জন্ম নিবন্ধনের সাথে ৫’শ টাকা করে পুরস্কার দেওয়া হবে।
[৮] পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা শারমিন আক্তার বলেন, আমার ৭ দিন বয়সী শিশুর জন্ম নিবন্ধন করাতে পৌরসভায় যাই। জন্ম নিবন্ধনে মেয়রের স্বাক্ষর আনতে পৌরসভার একজন কর্মচারী তার কক্ষে যান। জন্ম নিবন্ধনে স্বক্ষর করে তিনি আমাকে ডেকে পাঠান। তখন সেখানে গেলে শিশুর জন্ম নিবন্ধন করার জন্য মেয়র আমাকে অভিনন্দন জানান। সেই সাথে ৫০০ টাকা পুরস্কার ও আমার সন্তানের জন্মনিবন্ধন সনদ হাতে তুলে দেন। এমন উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। এতে অভিভাবকরা সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে ও শিশু জন্মের ৪৫ দিরে মধ্যে অভিভাবকরা জন্মসনদ করাতে উদ্বুদ্ধ হবেন।