Tags: পৈত্রিক সম্পত্তিতে বাড়ী করতে গিয়ে বাধার সম্মুখিন হলেন জেলা ও দায়রা জজ
[২] গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া পৌর এলাকার পশ্চিমপাড়ায় পৈত্রিক রেকর্ডীয় সম্পত্তির উপর বাড়ী করতে গিয়ে বাধার সম্মুখিন হয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আকবর আলী শেখ।
[৩] এ ব্যাপারে বিচারকের ভাই মোকসেদ আলী শেখ প্রেসক্লাব গোপালগঞ্জে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
[৪] মোকসেদ আলী শেখ অভিযোগ বলেন, আমার ভাই ফরিদপুর জেলা ও দায়রা জজ আকবর আলী শেখ নিজের নামে রেকর্ডীয় পৈত্রিক সম্পত্তিতে ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করেন। প্রতিবেশী রফিকুল ইসলাম ঠান্ডা মুন্সি, তার ছেলে মামুন মুন্সি ও সুমন মুন্সি ওরফে সাদ্দাম পূর্ব শত্রæতার জের ধরে আমার ভাই আকবর আলী শেখের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার জন্য উক্ত জায়গা তাদের দাবি করে বেশ কিছু মিথ্যা তথ্য দিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করায়।
[৫] তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন, কয়েক বছর পূর্বে রফিকুল জালিয়াতির ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে আমাদের জমি দখল করে জোরপূর্বক পাকা ভবন নির্মাণ করেন। বাধা দিতে গেলে আমরা হামলা মামলার শিকার হই। রফিকুল ইসলামের ছেলেদের নানাবিধ অসামাজিক কার্যাকলাপের কারনে একাধীকবার তারা জেল খেটেছে। তাদের অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ বলেও জানান তিনি।
[৬] ৬৭ বছর বয়সী প্রতিবেশী শাহাদাত হোসেন খলিফা বলেন, ছোট বেলা থেকে দেখে আসছি এটা জজ সাহেবের পৈত্রিক সম্পত্তি। পৈত্রিক সূত্রে এখন জজ সাহেবই মালিক। জজ সাহেব নিজস্ব জায়গাতেই ভবন নির্মাণ করছেন।
[৭] এলাকার মুরব্বী শহিদুল ইসলাম বলেন, কোটালীপাড়া পৌর ৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ কামাল হোসেন সরদার বলেন, জমি ও জজ সাহেব সম্পর্কে রফিকুল ও তার স্ত্রী যে সম্পর্ক তথ্য দিয়েছে তা সবই বানোয়াট। ভবনটি বিচারক আকবর আলী শেখ তার নামে রেকর্ডিয় সম্পত্তিই করছে।
[৮] বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রফিকুল ইসলাম ঠান্ডা মুন্সি বাড়িতে গিয়ে তার পুত্রবধুকে পেলেও তিনি এ বিষয়ে কোন কথা বলতে রাজি হননি।