[২] শীতের আগমনে সূর্যের আলো মিষ্টি হয়ে আসে। শীতকাল মানেই ভালোবাসার মৌসুম। এই ঋতু আসলে বাঙালি বিয়ের ধুম লেগে যায়। অবশ্য বিয়ের জন্য এটাই পারফেক্ট ঋতু।

[৩] সময় নির্বাচনে শীতকেই বেশি পছন্দ হয়। তবে বিয়ের সঙ্গে শীতের যে সম্পর্কই থাকুক বাড়তি কিছু সুবিধা পান বিয়ের আয়োজক পরিবার। তাই আপনি যদি বিয়ের দিনক্ষণ নিয়ে ভাবতে শুরু করে থাকেন বা আগামী দিনে পরিবারের নিকট কারো বিয়ের প্ল্যানিং করে থাকেন, তবে আপনাকে অভিনন্দন। কারণ আপনি অনেক সুবিধা পেতে যাচ্ছেন।

[৪] এই যেমন ধরুন: বিয়ের আয়োজন করতে আয়োজকদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়। বিয়ের আয়োজন, খাওয়া-দাওয়া, প্যান্ডেল- কতো কাজই না করতে হয় বিয়েতে! সাধারণত গরমের দিনে একটু পরিশ্রম অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। কিন্তু শীতের দিনে এক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা পাওয়া যায়। তাই শীতকালেই বিয়ে সেরা।

[৫] দেখা যায় আমাদের মতো দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে শীতের সময় ছাড়া দীর্ঘ সময় মেকআপ থাকে না। গরমে-ঘামে মেকআপ গলে যায়, সমস্যা সৃষ্টি হয়। কিন্তু শীতের সময় বিয়ের সাজগোজ সহজ হয়। তাই বর-কনে ছাড়া বাকিরাও বিয়েবাড়ির সাজের আনন্দ নিতে পারে মন মতো।

[৬] শীতকালে অনেক ফুল পাওয়া যায়। চন্দ্রমল্লিকা থেকে রজনীগন্ধা, অর্কিড, গাঁদা, গোলাপ, জুঁই-সহ নানান টাটকা ফুল পাওয়া যায়। তাই কৃত্রিম ফুলের প্রয়োজন হয় না- এই সময়। চাইলে পুরো বিয়ের অনুষ্ঠান প্রাকৃতিক ফুলে সাজানো যায়। তাতে বিয়ের চাকচিক্য আলাদা মর্যাদা পায়।

[৭] সাধারণত গরমের সময় নানান মৌসুমী ফল পাওয়া যায়। কিন্তু ফলফলাদি কেনা নিয়ে ঝামেলায় পড়তে হয় না। অথচ এইসব মৌসুমী ফল শীতে বেশি পাওয়া যায় না। যেমন শীতে আম, লিচুর ফলন খুব একটা নেই। তাই শীতের সময় বিয়ে হলে মৌসুমী ফল কেনার ঝামেলাও নেই।

[৮] শীতকালে ফ্যান চালাতে হয় না। আবার দ্রুত ঘুমানোর একটা তাড়া থাকে। তাই সব লাইট-টিভিও তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। এতে মাসিক বিদ্যুৎ বিল এক্কেবারেই কম হবে। অতিথি অভ্যাগতদের যত্নে সুবিধে হয় সঙ্গে সাশ্রয়ও।

[৯] বিয়ের আয়োজনে সাধারণ বাড়িতে বহু মানুষের উপস্থিতি থাকে। কিন্তু একটি পরিবারে অতিরিক্ত মশারি তেমন থাকে না। তাই শীতের সময় বিয়ে হলে সুবিধা, বেশিরভাগ সময় মশারি দরকার হয় না। এমনিতে মশা কম থাকে। আবার অনেকে লেপ-কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমালে মশা কামড়ানোর সুযোগ নেই।