Tags: সরকারি কর্মচারীদের বেতন ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে গোপালগঞ্জে মানববন্ধন
[২] ১১ থেকে ২০ তম গ্রেডের কর্মচারীদের বেতন-ভাতা বৃদ্ধির দাবিতে মানববন্ধন করেছে ‘সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ গোপালগঞ্জ শাখা’। শনিবার (১ অক্টোবর) গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সকাল সাড়ে ১০টার সময় এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। গোপালগঞ্জের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের অধীনস্থ কর্মচারীরা মানববন্ধনে অংশ নেন।
[৩] সরকারি দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ, গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সমন্বয়ক আসমা খানম বলেন, ‘বর্তমান বাজার দরের সাথে সরকারি কর্মচারীদের বেতন সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বাসা ভাড়া দিতেই বেতন ভাতার অর্ধেক উধাও হয়ে যায়। আমরা মধ্যবিত্ত, না পারি হাত পাততে, আর না পারি ভরণপোষণ ও অন্যান্য খরচ মিটিয়ে পরিবারকে ঠিকঠাকভাবে সামাল দিতে। দিনকে দিন আমাদের পিঠ ঠেকে দেয়ালে ঠেকে যাচ্ছে।
[৪] তিনি আরও বলেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্মচারীদের অধিকারের জন্য আন্দোলন করতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রত্ব হারিয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন এই দেশকে একটি শোষণহীন, বৈষম্যমুক্ত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে। আজ সরকারি কর্মচারীরা আধুনিক দাসত্বের স্বীকার, তারা সস্তায় শ্রম বিক্রি করতে করতে আজ দিশেহারা। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনি মমতাময়ী, আপনি আমাদের দিকে একটু সুনজর দিন, আমরা কোনঠাসা হয়ে পড়েছি।’
[৫] সমন্বয়ক আসমা খানম বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ’ এর পক্ষ থেকে ৭ দফা দাবি ঘোষণা করেন। দাবিগুলো হলোঃ পে স্কেল গঠনপূর্বক বৈষম্যমুক্ত ৯ম পে-স্কেল বাস্তবায়ন ও অন্তর্বর্তীকালীন সময়ে মহার্ঘভাতা প্রদান, ১৯৭৩ সালে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ ধাপে বেতনস্কেল নির্ধারণ, সচিবালয়ের ন্যায় সকল দপ্তর অধিদপ্তর ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের পদ ও পদবী পরিবর্তনসহ এক ও অভিন্ন নিয়োগ বিধি প্রণয়ন, টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড ও বেতন জ্যেষ্ঠতা পূণঃবহাল এবং সকল স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে গ্রাচ্যুইটির পরিবর্তে পেনশন প্রবর্তন, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আপীল বিভাগের রায় বাস্তবায়নসহ সহকারী শিক্ষকদের বেতন নিয়োগবিধি ২০১৯ এর ভিত্তিতে ১০ম গ্রেডে উন্নীতকরণ এবং আউটসোর্সিং পদ্ধতি বাতিল করে উক্ত খাতে নিয়োগকৃতদের রাজস্ব খাতে স্থানান্তর, ব্লকপোস্টে কর্মরত কর্মচারীদের ৫ বছর পরপর উচ্চতর গ্রেড প্রদান, নিম্ন আদালতের কর্মচারীদের বিচারবিভাগীয় কর্মচারী এবং টেকনিক্যাল পদে নিয়োজিত কর্মচারীদের টেকনিক্যাল পদমর্যাদা নিশ্চিত করা এবং বাজারমূল্যের সাথে সমন্বয় করে সকল ভাতাদি পুনঃনির্ধারণ, চাকুরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ এবং অবসরের বয়সসীমা ৬২ বছর নির্ধারণ করতে হবে।