Tags: চট্টগ্রাম
[২] চট্টগ্রামের বোয়ালখালী উপজেলায় ৫নং সারোয়াতলী ইউনিয়ন ৭নং ওর্য়াড ইমামুল্লার চর গ্রামে দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত, জরাজীর্ণ সড়ক সংস্কার করছে এলাকাবাসী, নিজস্ব অর্থায়নে তাঁরা এ সংস্কার উদ্যোগ নিয়েছে,এখানে নেই কেন ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা ও জেলা পরিষদের বরাদ্দ।
[৩] সরেজমিনে দেখা যায়, স্বাধীনতার ৫২ বছরে ও উন্নয়নের ছিটা ফোটা ও লাগেনি। সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত ও জরাজীর্ণ অবস্থায় ছিল। কিছু অংশে ইট বিছানো থাকলে তা সরে গিয়ে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। তাতে গাড়ি চলাতো দুরে থাক, পায়ে হাটাও দায়। ছোট ছোট কোমল মতি শিশুরা স্কুলে যেতে অনিহা প্রকাশ করে। বৃদ্ধরা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করতে মসজিদে যায় ঝুঁকি নিয়ে । আর বাকি অধিকাংশ সড়ক কাঁদা মাটির যেখানে কখনো ইট বা কোনরকম সংস্কার হয়নি।
[৪] এলাকাবাসী জানায়, সড়কটি তাঁদের গ্রামের মূল চলাচলের পথ। যার একপাশে বোয়ালখালী-পটিয়া সংযোগ সড়কের সাথে লাগানো। দীর্ঘদিন জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে আশ্বাস পেলেও সংস্কারের মুখ দেখেনি সড়কটিতে। তাই শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে তাঁরা এলাকার ঘর প্রতি টাকা তুলে সেটি সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে। এক্ষেত্রে প্রায় ৪০০ ফিট সড়ক সংস্কার করা হবে, যাতে প্রায় ৫-৬ লক্ষ টাকা প্রয়োজন হবে।
[৫] স্থানীয় ইউপি সদস্য তৌহিদুর রহমানের ব্যক্তিগত সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনায় কাজটি বাস্তবায়ন হলেও স্থানীয় সরকারের কোন বরাদ্দ সেখানে নেই বলে জানান তিনি।
[৬] এলাকার বাসিন্দা মোঃ সোহেল বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এ সড়ক নিয়ে ভোগান্তিতে আছি। জন্মলগ্ন থেকে দেখে আসছি সড়কটি জরাজীর্ণ। কোনদিন কোন চেয়ারম্যান এটি সংস্কারের একটি ইটও দেয়নি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা নিজের টাকায় সড়ক সংস্কার করছি। এক্ষেত্রে ইট-বালি-সিমেন্ট-মাটি নিজেদের অর্থায়নে কিনছি। আর শ্রমিকের কাজ করছি আমরা এলাকাবাসী স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে।
[৭] জামাল উদ্দিন জানান, তাঁদের প্রায় ৪০০ ফিট সড়ক খুবই অবহেলিত। তাঁরা স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কারের কাজ শুরু করেছে, এক্ষেত্রে উপজেলা বা ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধিরা সহযোগিতার হাত বাড়ালে তাদের জন্য সুবিধা হবে।
[৮] এলাকাবাসীর দাবি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ যেন সড়কটি সংস্কারে তাদের সাথে এগিয়ে আসেন এবং তাদের দূর্ভোগ – দুর্দশা লাগব করেন।